খুঁজুন
শনিবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৫, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২

প্রোটোকলহীন সাধারণ জীবনযাপনের বার্তা দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান

সাধারণ মানুষের কাতারে তারেক রহমান: বাসে চড়লেন ডিজিটাল টিকিট কেটে, ভাইরাল ছবি নেট দুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ
সাধারণ মানুষের কাতারে তারেক রহমান: বাসে চড়লেন ডিজিটাল টিকিট কেটে, ভাইরাল ছবি নেট দুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়

গতকাল শুক্রবার, ১লা আগস্ট, লন্ডনের জনবহুল বাসস্টপে দেখা যায় এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। আকাশি রঙের সাধারণ শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাসের জন্য। আশপাশের যাত্রীদের চোখে তিনি তখন কেবল একজন সাধারণ নাগরিক। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে — কারণ তিনি আর কেউ নন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

ছবিগুলোতে পরপর ধরা পড়ে কয়েকটি মুহূর্ত। প্রথমটিতে দেখা যায়, তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদের মতোই। দ্বিতীয় ছবিতে ডিজিটাল টিকিট মেশিনে ট্যাপ করে বাসে উঠছেন তিনি, আর শেষ ছবিতে বাস থেকে নেমে যাচ্ছেন নিঃসাড়াভাবে।

জানা যায়, তিনি লন্ডনের কিংসস্টন টাওয়ারে যাওয়ার পথে এই ভ্রমণে অংশ নেন। ছবি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন তাকে। অনেকেই মন্তব্য করেন, “এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের শেখা উচিত কীভাবে সাধারণ জীবন যাপন করতে হয়।”

 

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “আমাদের দেশের নেতা যদি এমন হতেন— অহংকারহীন, সরল, জনগণের সাথে মিশে যেতেন— তাহলে দেশ অনেক আগেই বদলে যেত।”

আরেকজন লিখেন, “তারেক রহমান আমাদের নেতা নন শুধু, একজন শিক্ষাও। তার এই আচরণ আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে বড় অনুপ্রেরণা।”

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা হয়েও, দেশের বাইরে এভাবে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করার এই চিত্র বিরল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিবিদদের মধ্যে সাধারণত্বের এমন প্রকাশ সচরাচর দেখা যায় না।

 

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, নেতা হওয়া মানে শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়া নয়, আচরণ এবং জীবনযাপন দিয়েই মানুষকে প্রভাবিত করা সম্ভব। দেশের রাজনীতিতে যখন অহংকার, প্রটোকল ও নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো নেতাদের দৃশ্য আমরা প্রতিদিন দেখি— সেখানে তারেক রহমানের এই সাধারণভাবে চলাফেরা নতুন বার্তা দেয়।

 

এমন মানবিক, নিরহংকার এবং সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিকদের জন্য নিঃসন্দেহে এক শিক্ষা।

জনগণের সরকার গঠনে মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার হাফিজুল্লাহ হীরার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪০ অপরাহ্ণ
জনগণের সরকার গঠনে মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার হাফিজুল্লাহ হীরার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যাশিত ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনের সম্ভাব্য বিএনপি প্রার্থী হাফিজুল্লাহ হীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,

“বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রতীক। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।”

হাফিজুল্লাহ হীরা আরও বলেন,

“বর্তমান সময়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো জনগণের ঐক্য। বিএনপি সেই ঐক্যের প্রতীক হয়ে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে একটি জনগণের সরকার গঠনে কাজ করছে।”

তৃণমূল পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় এই তরুণ নেতা জানান, জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণই একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। তাই বিএনপি জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে মাঠে রয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা হাফিজুল্লাহ হীরা বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ ও প্রগতিশীল নেতৃত্ব হিসেবে তিনি এলাকাবাসীর মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হাফিজুল্লাহ হীরা একজন শক্তিশালী ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁর জনসংযোগ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং তরুণ ভোটারদের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা তাঁকে এ আসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে— নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে যদি বিএনপি একটি ঐক্যবদ্ধ কৌশল অবলম্বন করে, তবে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে দলটির পুনরুত্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে। হাফিজুল্লাহ হীরা নিজেকে সেই পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান।

তিনি শেষমেশ বলেন,

“আমি বিশ্বাস করি, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারব যেখানে থাকবে মানবিকতা, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার পূর্ণ প্রতিফলন।”

‘জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে, তবে এর ভিত্তি তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে’ — তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০০ পূর্বাহ্ণ
‘জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে, তবে এর ভিত্তি তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে’ — তারেক রহমান

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘জুলাই আন্দোলন’ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমি নিজেকে কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। বরং এই আন্দোলনের সফলতার পেছনে অসংখ্য মানুষের ত্যাগ, শ্রম এবং অবদান রয়েছে। জুলাই মাসে আন্দোলন সফল হলেও এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে থেকেই।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “এই আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা যে অবদান রেখেছেন, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এটি কেবল একটি দলের আন্দোলন নয়, বরং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াই।”

বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। দলটির নেতারা মনে করেন, আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই, তবে জুলাইয়ে তা তীব্রতা ও গতির নতুন রূপ পায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলনের সাফল্যের পেছনে কৌশলগত পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি এবং রাজনৈতিক ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা মনে করেন, এমন একটি সময়ে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, যখন জনগণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ছিল।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে আরও যোগ করেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এটি কোনো একক ব্যক্তির অর্জন নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।”

এদিকে রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় এসেছে, বিএনপি এই সাফল্যের পর পরবর্তী ধাপে কী পরিকল্পনা নিচ্ছে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তারা একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ প্রস্তুত করছে যেখানে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

জনগণের প্রত্যাশা, এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সূচনা হবে। যদিও রাজনৈতিক অঙ্গনে মতপার্থক্য রয়ে গেছে, তবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও ঐক্যের বীজ রোপণ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজের প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান শিকদার। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবীবুর রহমান ভুইয়ার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান শিকদার কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান শিকদার বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে বিএনপির নেতৃত্বে অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি হলেও হাওড় এলাকার রাজনীতিতে দুর্বল নেতৃত্বের কারণে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা অনুপস্থিত। দুর্বল রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ভুল পদক্ষেপ ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ফজলুর রহমান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সক্রিয়ভাবে দলীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও আমার মতো পরীক্ষিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কোনঠাসা করে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

হাওড় এলাকায় চলমান বিএনপির রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও দৈন্যদশা দূরীকরণে দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ফজলুর রহমান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক বলে জানান।