প্রোটোকলহীন সাধারণ জীবনযাপনের বার্তা দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
সাধারণ মানুষের কাতারে তারেক রহমান: বাসে চড়লেন ডিজিটাল টিকিট কেটে, ভাইরাল ছবি নেট দুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়

গতকাল শুক্রবার, ১লা আগস্ট, লন্ডনের জনবহুল বাসস্টপে দেখা যায় এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। আকাশি রঙের সাধারণ শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাসের জন্য। আশপাশের যাত্রীদের চোখে তিনি তখন কেবল একজন সাধারণ নাগরিক। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে — কারণ তিনি আর কেউ নন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ছবিগুলোতে পরপর ধরা পড়ে কয়েকটি মুহূর্ত। প্রথমটিতে দেখা যায়, তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদের মতোই। দ্বিতীয় ছবিতে ডিজিটাল টিকিট মেশিনে ট্যাপ করে বাসে উঠছেন তিনি, আর শেষ ছবিতে বাস থেকে নেমে যাচ্ছেন নিঃসাড়াভাবে।
জানা যায়, তিনি লন্ডনের কিংসস্টন টাওয়ারে যাওয়ার পথে এই ভ্রমণে অংশ নেন। ছবি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন তাকে। অনেকেই মন্তব্য করেন, “এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের শেখা উচিত কীভাবে সাধারণ জীবন যাপন করতে হয়।”
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “আমাদের দেশের নেতা যদি এমন হতেন— অহংকারহীন, সরল, জনগণের সাথে মিশে যেতেন— তাহলে দেশ অনেক আগেই বদলে যেত।”
আরেকজন লিখেন, “তারেক রহমান আমাদের নেতা নন শুধু, একজন শিক্ষাও। তার এই আচরণ আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে বড় অনুপ্রেরণা।”
বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা হয়েও, দেশের বাইরে এভাবে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করার এই চিত্র বিরল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিবিদদের মধ্যে সাধারণত্বের এমন প্রকাশ সচরাচর দেখা যায় না।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, নেতা হওয়া মানে শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়া নয়, আচরণ এবং জীবনযাপন দিয়েই মানুষকে প্রভাবিত করা সম্ভব। দেশের রাজনীতিতে যখন অহংকার, প্রটোকল ও নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো নেতাদের দৃশ্য আমরা প্রতিদিন দেখি— সেখানে তারেক রহমানের এই সাধারণভাবে চলাফেরা নতুন বার্তা দেয়।
এমন মানবিক, নিরহংকার এবং সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিকদের জন্য নিঃসন্দেহে এক শিক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন
Array